সিপলার ইউরিম্যাক্স ডি-তে নেই কার্যকর উপাদান! রাজ্যে ধরা পড়ল জাল ওষুধের ব্যাচ - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, June 15, 2025

সিপলার ইউরিম্যাক্স ডি-তে নেই কার্যকর উপাদান! রাজ্যে ধরা পড়ল জাল ওষুধের ব্যাচ


 প্রস্টেট গ্রন্থির চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত ওষুধ ইউরিম্যাক্স ডি-এর (Urimax-D) একটি নির্দিষ্ট ব্যাচ (ব্যাচ নম্বর 4GH 0097) নিয়ে উঠে এল ভয়াবহ অভিযোগ। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় ধরা পড়েছে, ওই ব্যাচের ট্যাবলেটগুলিতে মূল উপাদানই অনুপস্থিত! এই ঘটনা স্বাস্থ্যমহলে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।


কী ছিল অভিযোগ?

নামী ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা সিপলা (Cipla)-র এই ওষুধ মূলত দুটি সক্রিয় উপাদান—ট্যামসুলোসিন (Tamsulosin) ও ডুটাস্টেরাইড (Dutasteride)—মিশ্রণে তৈরি হয়।

ট্যামসুলোসিন: প্রস্রাবের প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে,

ডুটাস্টেরাইড: প্রস্টেট গ্রন্থি সঙ্কুচিত করতে সাহায্য করে।


তবে পরীক্ষায় দেখা গেছে, ব্যাচ 4GH 0097 নম্বরের ওষুধটিতে এই দুটি উপাদান একেবারেই নেই! রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ এটিকে ‘স্পিউরিয়াস’ (Spurious) বা সম্পূর্ণ জাল ওষুধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

কেন্দ্রীয় রিপোর্টেও সতর্কতা

এই তথ্য জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল সংস্থা (CDSCO)-কেও। তারা সিপলা’র ওই ব্যাচের বিরুদ্ধে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে এবং ওই ব্যাচটিকে দ্রুত বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে।

এর ফলে এই ব্যাচ ব্যবহার করা রোগীদের উপর কী ধরনের প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।


আগেও ধরা পড়েছে জাল ওষুধ

এটি নতুন ঘটনা নয়। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে গ্লেনমার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস-এর তৈরি Telma-40 নামক উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের একটি ব্যাচ (5240367) সম্পূর্ণ জাল বলে প্রমাণিত হয়েছিল।

এটি হাই ব্লাড প্রেশার, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হত।

ওষুধটি নকল করে বাজারে ছাড়া হয়েছিল, যা কেন্দ্রীয় সংস্থা চিহ্নিত করে।



রোগীদের জন্য জরুরি পরামর্শ

যদি আপনি বা আপনার পরিবার ইউরিম্যাক্স ডি ব্যবহার করেন, তাহলে অবিলম্বে ব্যাচ নম্বর দেখে নিন।

ব্যাচ নম্বর 4GH 0097 থাকলে সেই ওষুধ ব্যবহার বন্ধ করুন এবং চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

সংশ্লিষ্ট ফার্মেসি ও ওষুধ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং প্রয়োজনে লিখিত অভিযোগ জানান।



প্রশাসনিক করণীয়

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে জাল ওষুধ বিরোধী অভিযান আরও জোরদার করার সুপারিশ উঠেছে।

ওষুধ রেজিস্ট্রেশন, ব্যাচ মনিটরিং ও উৎস যাচাইয়ের কাজ আরও শক্তিশালী করতে বলা হয়েছে।


ক্রমবর্ধমান এই জাল ওষুধের সমস্যা ভারতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য এক বড়সড় হুমকি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু নজরদারি নয়, জাল ওষুধ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার এবং কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করাই এই সংকট থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad